নেটওয়ার্কের বাইরে…

লাদাখ…
নেটওয়ার্কের বাইরে…
একদা গিয়েছিলাম অজানা পথের পথিক হয়ে, প্রকৃতির অতল গহবরে। যেথায় ছিলোনা কোনো নেটওয়ার্ক, ছিলোনা কোনো কোলাহল। জনমানব শূন্য এই বিস্তৃর্ণ ভূ্মিতে ভয়ংকর সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি। যেথায় আকাশ ও মেঘেয় গভীর আলিঙ্গন। মেঘের ফাকে মাঝে মাঝে মৃদু রোদের ঝলক। কখনও রৌদ্রোজ্জল সারাদিন, আবার কখনও ঘণ মেঘে ঢেকে যায়। উচ্চতা ও তাপমাত্রার যেন কোন ইয়াত্তা নেই। যেতে যেতে পথে, কমে যায় বেড়ে যায় উচ্চতা, আবার মুহুর্তেই বৈরী আবহাওয়ায় তাপমাত্রা চলে আসে হিমাঙ্কের নিচে। উচ্চতা ও তাপমাত্রায় সামঞ্জস্যতায় অক্সিজেন লেভেলের পরিবর্তন ঘটে মুহুর্তেই। ১০-১৫ হাজার + ফিট উচ্চতায় এরূপ মৃত্যুমুখী যাত্রা। মৃত্যুভয় যেন প্রতিনিয়ত দরজায় টোকা দিচ্ছিল। মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে, রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেন উদাসিন হয়ে গিয়েছিলাম। প্রকৃতির এমন বিভিষিকাময় পরিস্থিতিতে নিজের মানিয়ে নেয়ার টেকনিক কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চললাম প্রকৃতির পানে। উচ্চতাজনিত কারণে নিশ্বাস যেন মুহুর্তেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, সাথে সাথে শারিরিক কসরতের মাধ্যমে আবার দমকে ফিরিয়ে আনা। এযেন একপ্রকার ভয়াল জীবন যুদ্ধ।


মনে হয় এ এক ভিন্ন জগৎ। প্রকৃতি নিমিষেই তার রূপ বদলাতে থাকে। ভয়ংকর সৌন্দর্যের গভীরে হারিয়ে গিছেলাম। পৃথিবী এতটাই সুন্দর, যা আমাদের কল্পনার বাইরে। দুর পাহাড়ের ঐ বিশালতা আন্দাজ করা সত্যিই কঠিন ব্যপার । চোঁখ যেন সরানোর উপায় নাই, এতটাই সৌন্দর্যমন্ডিত প্রকৃতি।
রহস্যময় এমন অভিযাত্রী হতে কার না ভালো লাগে।
শত বাধা বিপত্তির পরও প্রকৃতির এমন ভয়ংকর রোমাঞ্চকর অনুভুতি নিতে,
তাইতো মাঝে মাঝে হারাতে হয় –
নেটওয়ার্কের বাইরে…

বি:দ্র:

পরিবর্তনটা শুরু হোক আমাদের নিজেদের থেকে, আমাদের ঘর থেকে। আমাদের ঘরকে আমরা ঠিক যেভাবে গুছিয়ে রাখি – আমরা চাইলে আমাদের পাড়া, মহল্লা, দেশ তথা পুরো পৃথিবীকে গুছিয়ে রাখতে পারি। শুধু প্রয়োজন সচেতনতা। ময়লা আবর্জনা যেভানে সেখানে না ফেলে, নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবো। অপচনশীল যেকোন আবর্জনা যেমন পলিব্যাগ/প্যাকেট, বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক , প্লাস্টিক বোতল এবং ধাতব দ্রব্য ইত্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবো অথবা নিজেদের সাথে নিয়ে এসে উপযুক্তভাবে ধ্বংস করবো। এই পৃথিবীটা আমাদের অতএব, এটাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও আমাদের। ভ্রমনে গিয়ে পরিবেশের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই দিক খেয়াল রাখা আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। নিজেরা নিজেদের জায়গা থেকে পরিবেশ রক্ষার কাজ করলে, প্রথিবী আরো সুন্দর ও সবুজে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

Share Your Social Media

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top